মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

দাফনের আগে যুবকের মাথায় মিলল ‘গুলির চিহ্ন’

দাফনের আগে যুবকের মাথায় মিলল ‘গুলির চিহ্ন’

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মারুফ হোসেন ওরফে সায়মন (২৩) নামের এক যুবকের মরদেহ দাফনের আগে মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের রহিমুর দীঘির পাড় তুফান আলী বলির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এর আগে শনিবার সকালে হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের মুনিয়া পুকুরপাড় এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশ থেকে রক্তাক্ত মারুফ হোসেন ওরফে সায়মনের লাশ উদ্ধার করে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা-পুলিশ। মারুফ হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমুর দিঘির পাড় এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে।

পরিবার জানায়, মারুফ হোসেন ওমানপ্রবাসী ছিলেন। করোনাকালে দেশে এসে আর ফেরত যাননি। হাটহাজারীর সরকারহাট বাজারে একটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকানে কাজ করতেন। গত শুক্রবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর হিসেবে কাজে যান তিনি। মধ্যরাতে ফোনে বাবাকে তিনি জানান, তার বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। গতকাল সকালে বাড়ির কাছাকাছি ওই স্থানে মাথার দুই পাশে ফুটো হওয়া লাশ পাওয়া যায় তার।

নিহতের বাবা আবদুল মালেক বলেন, গতকাল ভোর সাড়ে চারটার দিকে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা-পুলিশ মারুফের মুঠোফোন থেকে ফোন করে তাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। ঘটনাস্থলে গেলে একটি কাগজে টিপসই নেওয়ার পর মারুফের মরদেহ তাকে বুঝিয়ে দিয়ে দ্রুত দাফন করতে বলেন।

কিন্তু দাফন করতে গিয়ে দেখা যায়, মাথার দুদিকে ফুটো হয়ে আছে। গুলি করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল মালেক।

এলাকাবাসী জানান, মাথার দুই দিকে ফুটো দেখতে পেয়ে হাটহাজারী থানায় খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ এসে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘ভোরে অনেকটা অন্ধকার থাকার কারণে নিহত যুবকের মাথার চিহ্নটি দেখা যায়নি। আমরা ধারণা করেছিলাম, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হতে পারেন। এ জন্য পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছিল।’

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ওই যুবকের লাশের মাথার দুই পাশে গুলিবিদ্ধের মতো চিহ্ন শনাক্ত করা গেছে। তবে ঘটনাস্থলে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |